Land Registry New Rule 2025: বর্তমানে ভারত সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হলো সবকিছু অনলাইন করা সেখানে বর্তমানে জমি রেজিস্ট্রি বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেখানে দীর্ঘদিন ধরে জমির রেজিস্ট্রি অফ লাইনে মাধ্যমে করা হতো এবং জমির সমস্ত কাজ অফলাইনে করা হতো সেখানে জমি রেজিস্ট্রেশন এখন অনলাইনে মাধ্যমে করা হচ্ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে ভারত সরকার কর্তৃক নতুন স্টেপ নেওয়া হয়েছে যদি আপনি না জেনে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য আপনার যদি জমি থেকে থাকে বা জমি রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত করবে নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে।
ভারত সরকারের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় এবার থেকে জমি রেজিস্ট্রেশন এর উপর ভারত সরকারের নয়া নিয়ম লাগো হতে চলেছে। এই নিয়ম লাগোলে সাধারণ মানুষের অনেক উপকার হবে বলে জানা যাচ্ছে। কেননা এখন জমি সংক্রান্ত নানা রকম কাজকর্ম ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে কি কি কাজ করতে পারবেন বাকি কি সুবিধা পাবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সম্পর্কিত পোস্ট
40 হাজার মাসিক ইনকাম! 7টি দারুণ ব্যবসার আইডিয়া, এখনই শুরু করুন - 7 Best Business Ideaনতুন নিয়মে কী পরিবর্তন এসেছে?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, Land Registry New Rule 2025 চালুর পর সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশনে চারটি বড় পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন থেকে রেজিস্ট্রির সময় শুধু কাগজে স্বাক্ষর করলেই চলবে না, বরং মালিক বা ক্রেতা উভয়কেই ডিজিটালি নিজেদের যাচাই করতে হবে।
এই নতুন পরিবর্তনগুলো হলো —
- মালিকের আধার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক থাকতে হবে ।
- সমস্ত ডিজিটাল নথি অনলাইনে আপলোড করা হবে।
- তবে অনলাইন পেমেন্ট ছাড়া রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হবে না।
- রেজিস্ট্রির একটি ডিজিটাল কপি সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক হবে।
এই চারটি ধাপ সম্পূর্ণ না করলে সম্পত্তি আইনত আপনার নামে নাও থাকতে পারে বলে জানা যায়, এমনকি ভবিষ্যতে মালিকানা নিয়ে বিতর্কের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।
কেন রেজিস্ট্রির পর অতিরিক্ত পদক্ষেপ জরুরি?
আগে পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলেই মালিকানা স্বীকৃত হয়ে থাকতো। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী এখন শুধু রেজিস্ট্রি করলেই হবে না, বরং কিছু অতিরিক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
রেজিস্ট্রির পর মালিক বা ক্রেতাকে যা যা করতে হবে —
- নিজের আধার বায়োমেট্রিক যাচাই সম্পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক।
- সমস্ত ডিজিটাল নথি (property deed, sale agreement, tax proof) অনলাইনে আপলোড করা উচিত।
- সরকার নির্ধারিত ফি অনলাইনে পরিশোধ করতে হবে।
- রেজিস্ট্রির ডিজিটাল কপি ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করে নিতে হবে।
যদি এই ধাপগুলো সময়মতো সম্পন্ন না করা হয়ে থাকে , তাহলে রেজিস্ট্রেশনটি আইনি দিক থেকে বাতিল ঘোষণা করা যেতে পারে এবং মালিকানা নিয়ে জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে জানা যায়।
ঘরে বসেই রেজিস্ট্রেশন করার সুবিধা
তাই ২০২৫ সালের এই নতুন নিয়ম সাধারণ নাগরিকদের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর এসেছে। কারণ এখন আর অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে রেজিস্ট্রি করার কোনো ঝামেলা নেই। কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করেই ঘরে বসে রেজিস্ট্রি করা সম্ভব।
নিচে অনলাইন রেজিস্ট্রির কিছু প্রধান সুবিধা দেওয়া হলো —
- সময় ও খরচের সাশ্রয়: অনলাইনে রেজিস্ট্রি করার ফলে অফিসে যাতায়াত, এজেন্ট খোঁজা বা ব্রোকারের কমিশন প্রয়োজন হবে না।
- স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি: আধার বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রতারণা রোধ হবে।
- দ্রুত যাচাই: জমির নথি ও মালিকানা সম্পর্কিত তথ্য অনলাইনে তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা যেতে পারে।
- ডিজিটাল রেকর্ড: সব ডকুমেন্ট এখন ক্লাউডে সেভ থাকবে, ফলে হারানোর ভয় থাকবে না।
কাদের জন্য এই নতুন নিয়ম প্রযোজ্য?
এই নিয়ম ভারতের সব রাজ্যে ধীরে ধীরে কার্যকর করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সরকারি সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, প্রথম ধাপে এটি উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গসহ কিছু রাজ্যে চালু করা হয়েছে। তবে এখনো অফিসিয়াল ঘোষণা হয়নি।
যে কেউ যিনি জমি, ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক বা ক্রেতা, তাঁকে এই নিয়ম অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার।
রেজিস্ট্রেশনের সময় কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
অনলাইনে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করতে গেলে নিচের নথিগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে —
- আধার কার্ড (Aadhaar Card)
- প্যান কার্ড (PAN Card)
- সেল ডিড বা প্রপার্টি ডিডের স্ক্যান কপি
- ট্যাক্স রসিদ বা মালিকানার প্রমাণ
- পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- অনলাইন পেমেন্ট রিসিট
উপরোক্ত সমস্ত ডকুমেন্ট অনলাইনে সঠিকভাবে আপলোড ও ভেরিফাই করা হলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হবে।
নতুন প্রক্রিয়া কেমন কাজ করে?
নতুন ডিজিটাল রেজিস্ট্রি প্রক্রিয়ায় নাগরিকরা সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজেদের প্রপার্টির নানা তথ্য পূরণ করবেন। এরপর আধার OTP বা বায়োমেট্রিক স্ক্যানের মাধ্যমে যাচাই সম্পন্ন করা হতে পারে।
অবশ্যই সব নথি আপলোড করার পর অনলাইন ফি জমা দিতে হবে এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি ডিজিটাল রেজিস্ট্রি কপি (Digital Registry Copy) পাওয়া সম্ভব।
এই কপিটি হবে সরকারি স্বীকৃত নথির মতো, যা ব্যাংক লোন বা ভবিষ্যৎ বিক্রয়ের সময় কাজে লাগবে।
নতুন নিয়মে সতর্কতা
এদিকে সরকার জানিয়েছে, অনেকেই রেজিস্ট্রির পর এই অতিরিক্ত পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে ভবিষ্যতে জমির মালিকানা নিয়ে আইনি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। তাই রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনলাইন যাচাই ও আপলোড প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি।
যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই ধাপগুলো সম্পন্ন না হয়ে থাকে , তবে সরকার আপনার রেজিস্ট্রি বাতিল করতে পারে এবং প্রপার্টি “Inactive” হয়ে যেতে বলে জানা যায়।
Land Registry New Rule 2025 আপনি যদি ভারতের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং সরকারের এই নিয়ম মেনে কাজ করেন তাহলে অবশ্যই লাভবান হতে পারেন। কেন ভারত সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া এই প্রজেক্টে আপনার অবদান থাকবে। ঘরে বসে এমন কাজ করতে পারলে এখন থেকে সময় অনেকটাই সাশ্রয় হবে। তবে এখনো পর্যন্ত এর অফিসিয়াল কোন আপডেট পাওয়া যায়নি। বা আমাদের রাজ্যে এখনো পর্যন্ত এর পরিষেবা শুরু করা হয়নি তবে অতি শীঘ্রই এই পরিষেবার শুরু হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।

Sabari College is a independent news portal, we deliver content related to education for 5 years experience. Please follow us for any Educational related update. Thanks










