RTO অফিস না গিয়ে,ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স, দেখুন বিস্তারিত – Driving Licence From Home

Driving Licence From Home: বর্তমান সময়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স তাই এখন আপনি ঘরে বসে টাইমিং আছে জন্য আবেদন করতে পারবেন আপনার জন্য আজকের এই প্রতিবেদন এমন একটি ভালো খবর হতে চলেছে যেখানে আপনি ঘরে বসে কোথাও না গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন দিয়েই আবেদন করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের লার্নার পেতে পারেন অতি সহজেই। আজকের এই প্রতিবেদনে ধাপে ধাপে বিস্তারিত আলোচনা করতে যাচ্ছে কিভাবে আপনি ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করবেন এবং কিভাবে ড্রাইভিং অ্যাক্সিস এর জন্য ট্রাই দিয়ে অনলাইনে পেয়ে যাবেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত।

কীভাবে কাজ করে এই অনলাইন লাইসেন্স প্রক্রিয়া?

সরকারের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন আর RTO অফিসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। যেকোনও ব্যক্তি ঘরে বসেই নিজে বা সাইবার ক্যাফের সাহায্যে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে ফেলতে পারেন। অনলাইনে পুরো আবেদন প্রক্রিয়া TRANSPORT অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (https://parivahan.gov.in) মারফত সম্পন্ন হয়ে থাকে।

সম্পর্কিত পোস্ট

40 হাজার মাসিক ইনকাম! 7টি দারুণ ব্যবসার আইডিয়া, এখনই শুরু করুন - 7 Best Business Idea

আবেদনকারীকে প্রথমে লার্নার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়। এর পরে নির্দিষ্ট সময় পরে পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র

অনলাইনে আবেদন করতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট থাকতে হয়। নিচে এই নথিগুলোর তালিকা দেওয়া হল—

  • ভোটার আইডি / প্যান কার্ড / আধার কার্ড (পরিচয়পত্র)
  • বসবাসের প্রমাণ (বিল, রেশন কার্ড, ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  • পাসপোর্ট সাইজের রিসেন্ট ছবি
  • সক্রিয় মোবাইল নম্বর থাকতে হবে
  • স্বাক্ষর স্ক্যান কপি (PDF বা JPG ফর্মেটে)
  • জন্ম সনদ (প্রয়োজনে) থাকা তবে জরুরি না

কারা ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন?

এই স্কিমে আবেদন করার জন্য কিছু প্রাথমিক যোগ্যতা প্রয়োজন। যেমন—

  • আবেদনকারী অবশ্যই ভারতীয় বাসিন্দা হতে হবে।
  • বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হবে (দুই চাকার যানবাহনের জন্য)।
  • পাশাপাশি ব্যক্তিকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবে।
  • আবেদনকারীকে লিখিত ও প্র্যাকটিকাল টেস্ট দিতে হবে (RTO নির্ধারিত)।

অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে

ধাপ ১: অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ

আবেদন করতে প্রথমে যেতে হবে ভারত সরকারের পরিবহণ মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে — https://parivahan.gov.in

ধাপ ২: রাজ্য নির্বাচন

ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর প্রথমে নিজের রাজ্যের নাম নির্বাচন করতে হবে।

ধাপ ৩: নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স অপশনে ক্লিক

“Apply for Learner Licence” বা “New Driving Licence” অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে।

ধাপ ৪: তথ্য পূরণ

এরপর ফর্মে নিজের সমস্ত তথ্য যেমন (নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, ইত্যাদি) পূরণ করতে হবে।

ধাপ ৫: ডকুমেন্ট আপলোড

উল্লেখিত নথিগুলো স্ক্যান করে নির্ধারিত ফর্ম্যাটে আপলোড করতে হয়।

ধাপ ৬: অ্যাপয়েন্টমেন্ট এবং ফি জমা

লার্নার লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষার জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট বেছে নিতে হবে, এরপর নির্ধারিত ফি অনলাইনে জমা করতে হবে।

ধাপ ৭: অনলাইন টেস্ট

পরীক্ষার দিন ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকেই একটি ছোট অনলাইন টেস্ট দিতে হবে। পাস করলে লার্নার লাইসেন্স জারি হয়ে যাবে।

ধাপ ৮: পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন

লার্নার লাইসেন্স পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে পার্মানেন্ট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর জন্য RTO অফিসে গিয়ে প্র্যাকটিক্যাল টেস্ট দিতে হয়।

ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি কত?

অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করতে হলে কিছু নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয়। যেমন—

  1. লার্নার লাইসেন্স ফি: ₹১৫০ (প্রায়)
  2. ড্রাইভিং টেস্ট ফি: ₹৩০০ (প্রায়)
  3. পার্মানেন্ট লাইসেন্স ফি: ₹২০০ (প্রায়)
  4. মোট খরচ: ₹৬০০-₹৭০০ এর মধ্যে হতে পারে।

ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রকারভেদ

ভারতে মূলত তিন ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায়—

  • Learner Licence (LL): শিখতে থাকা চালকদের জন্য এটি।
  • Permanent Licence (DL): ৩০ দিন পর আবেদন করতে হয়।
  • Commercial Licence: পেশাদার চালকদের জন্য ট্রাক, বাস, ইত্যাদির অনুমোদন করা হয়।

অনলাইনে আবেদন করার সুবিধা

অনলাইন প্রক্রিয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সময় ও হয়রানি থেকে নিজেকে বাঁচানো। এখন আবেদনকারীরা—

  • এর ফলেঘরে বসে আবেদন করতে পারেন
  • সময় ও কাগজপত্র কম লাগে এর মাধ্যমে
  • আরটিও অফিসে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় না
  • টেস্ট অনলাইনেই হয়ে থাকে
  • ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আবেদন স্ট্যাটাস জানা সম্ভব

যদি এই মুহূর্তে আপনার একটা ড্রাইভিং লাইসেন্স দরকার হয়ে থাকে তাহলে অবিলম্বে উপরোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি আবেদন করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনার যে যোগ্যতা গুলি চাওয়া হয়েছে সেই যোগ্যতা গুলি পূরণ করতে এবং আপনাকে নিকটবর্তী আরডি অফিসের অধীনে আবেদন করতে হবে প্রথম থেকে লার্নার পাবেন এবং পরবর্তীতে ট্রয়াল পর আপনি পূর্ণ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাবেন 

আরও পড়ুন

মাসিক আয় ৫০,০০০ আয়, একটি কোর্স করলে নিজের কর্মসংস্থান নিজেই তৈরি - Therapist Business Idea

Leave a Comment